নামাযের ১৪টি ওয়াজিব কাজ
প্রকাশিত : ১৯:০৯, ২ ডিসেম্বর ২০১৮
নামাজের মধ্যে ১৪টি ওয়াজিব কাজ রয়েছে। ওয়াজিব কাজ বলতে ওই সকল কাজকে বলা হয়, যার কোনো একটি কাজ ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু দিয়ে নামাজকে পরিশুদ্ধ করে নিতে হয়। আর সিজদায়ে সাহু আদায় করতে ভুলে গেলে পুনরায় নামাজ পড়ে নিতে হবে। তাই নামাজের ওয়াজিবগুলো সঠিকভাবে আদায় না করলে নামাজ সঠিক হবে না। নামাজের ওয়াজিবগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-
১. সূরা ফাতিহা পূর্ণ পড়া। (বুখারী, হাদীস নং-৭৫৬)
২. সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরাহ বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ মিলিয়ে পড়া। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৭৭৬, মুসলিম, হাদীস নং-৪৫১)
৩. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাআতকে কিরাতের জন্য নির্ধারিত করা। (বুখারী শরীফ, হা নং ৭৭৬/ মুসলিম, হাদীস নং-৪৫১)
৪. সূরা ফাতিহাকে অন্য সূরার আগে পড়া। (তিরমিযি, হাদীস নং-২৪৬/ ত্বাহাবী, হাদীস নং-১১৭২)
৫.নামাযের সকল রোকন ধীর স্থিরভাবে আদায় করা। (অর্থাৎ রুকু, সিজদা এবং রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ও দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসে কমপক্ষে এক তাসবীহ পরিমাণ দেরী করা।) (আবু দাউদ, হাদীস নং-৮৫৬, ৮৫৭, ৮৫৮)
৬. প্রথম বৈঠক করা (অর্থাৎ তিন অথবা চার রাক‘আত বিশিষ্ট নামাযের দুই রাক‘আতের পর বসা)। (বুখারী, হাদীস নং-৮২৮)
৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৮৩০, ৮৩১/ মুসলিম, হাদীস নং-৪০২, ৪০৩)
৮.প্রত্যেক রাক‘আতের ফরয এবং ওয়াজিবগুলোর তরতীব বা সিরিয়াল ঠিক রাখা। (তিরমিযী, হাদীস নং-৩০২)
৯. ফরয ও ওয়াজিবগুলোকে স্ব স্ব স্থানে আদায় করা। (যেমন দ্বিতীয় সিজদা প্রথম সিজদার সাথে করা। প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু শেষ করে ততক্ষণাৎ তৃতীয় রাকা‘আতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি। (বাদায়িউস সানায়ে, ১ : ৬৮৯)
১০.বিতরের নামাযে তৃতীয় রাক‘আতে কিরাআতের পর কোন দু‘আ পড়া। অবশ্য দু‘আ কুনূত পড়লে ওয়াজিবের সাথে সুন্নাতও আদায় হয়ে যাবে। (নাসায়ী হাদীস নং-১৬৯৯/ ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১১৮২/ ত্বহাবী, হাদীস নং-১৪৫৫)
১১. দুই ইদের নামাযে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা। (আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৩)
১২. দুই ঈদের নামাযে দ্বিতীয় রাক‘আতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলার পর রুকুর জন্য ভিন্নভাবে তাকবীর বলা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাদীস নং-৫৭০৪/ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৫৬৮৫)
বি.দ্র. এ তাকবীরটি অন্যান্য নামাযে সুন্নাত।
১৩. ইমামের জন্য যোহর, আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নাত ও নফল নামাযে ক্বিরা‘আত আস্তে পড়া এবং ফজর, মাগরিব, ইশা, জুম‘আ, দুই ঈদ, তারাবীহ ও রমযান মাসের বিতর নামাযে ক্বিরা‘আত শব্দ করে পড়া। (মারাসীলে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১/ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৫৭০০/ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাদীস নং-৫৪৫২)
বি.দ্র. আস্তে পড়ার অর্থ মনে মনে নয়, কারণ তাতে নামায শুদ্ধ হয় না। বরং আওয়াজ না করে মুখে পড়া জরুরী।
১৪. সালাম-এর মাধ্যমে নামায শেষ করা। (আবু দাউদ, হাদীস নং- ৯৯৬)
এসি